বার নির্বাচন বৈধতা নিয়ে করা রিট নিষ্পত্তি, পুলিশের মারধর ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’!

২০২৩ ও ২০২৪ সালের ১৫ ও ১৬ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের লাঠিপেটা ও মারধরের ঘটনাকে অপ্রত্যাশিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার অ্যাসোসিয়েশন) সদ্য অনুষ্ঠিত নির্বাচনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট আবেদন নিষ্পত্তির পর ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানান।পুলিশের হামলার ঘটনার বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে এবং দায়ী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে করা এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে বুধবার (২৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে বেঞ্চ রিট আবেদন নিষ্পত্তি করে এ আদেশ দেন।

আদালতে আজ রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার মো.রুহুল কুদ্দুস কাজল ও বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আবেদ রাজা,
মো.আক্তারুজ্জামান, মোহাম্মদ কামাল হোসেন প্রমুখ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।আদেশের পর ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, আমাদের আবেদনের শুনানি শেষে আদালত পর্যবেক্ষণ দিয়ে নিষ্পত্তি করেছেন। পর্যবেক্ষণ আমরা পুরোপুরি স্পষ্ট নই। দু-একটি কথা বুঝেছি যা, আদালত বলেছেন, এটা সুপ্রিম কোর্টের নির্বাচন। নির্বাচনে বা ভোটে এখানে ভেতরে এসে পুলিশ প্রবেশ করা বা পুলিশ আক্রমণ করা আইনজীবী সাংবাদিকদের আহত করা সবকিছু অনাকাঙ্ক্ষিত। এ পর্যন্ত আমরা বুঝেছি। বিস্তারিত রায় পেলে আমরা আদালতের পুরো অভিমত জানতে পারবো।

ব্যারিস্টার খোকন আরও বলেন, পুলিশের অ্যাকশন, লাঠিচার্জ ও মারধরের ঘটনার আমরা তদন্ত চেয়েছি। স্বচ্ছ নির্বাচনের দাবিতে আমাদের আইনজীবীদের আন্দোলন চলবে। পুলিশ লাঠিপেটা ও মারধর করে আমাদের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে একতরফা নির্বাচনের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে হবে।এর আগে গত ২১ মার্চ এ রিটের শুনানির জন্য ২৭ মার্চ দিন ধার্য করেন আদালত। এরপর মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) শুনানি নিয়ে বুধবার (২৯ মার্চ) আদেশের জন্য দিন ঠিক করেন। তারই ধারাবাহিকতায় এ আদেশ দেন। গত ১৯ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের ১৪ জন প্রার্থীর পক্ষে এ রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়।

রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, আইন সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, ডিবির উপ-কমিশনার ও শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বিবাদী করা হয়েছে।

আবেদনে গত ১৫ মার্চ আবেদনকারীদের আইনজীবী ও সাংবাদিকদের পেটানোর ঘটনা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না, সেই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। এর আগে দুই দিনব্যাপী নির্বাচনের শেষ দিন গত ১৬ মার্চ দিনগত রাতে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে ১৪টি পদের সব কটিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেল জয়ী হয়েছে।

scroll to top