সম্প্রতি সরকারবিরোধী আন্দোলনে গ্রেফতার ছাত্রদের ঈদের আগে জামিনে মুক্তির দাবিতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বরাবর চিঠি দিয়েছেন ১৮ বিশিষ্ট নাগরিক।
শনিবার (৮ মে) দুপুর ১২টায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেয়ার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সেখানে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়।
প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেয়া ১৮ বিশিষ্টজন হলেন- গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হাফিজ উদ্দিন খান, আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, অধ্যাপক পারভীন হাসান, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, নারী নেত্রী শিরিন হক, লেখক-নৃবিজ্ঞানী রেহনুমা আহমেদ, অর্থনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়া, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, মুক্তিযোদ্ধা ইসতিয়াক আজিজ উলফাত, মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু এবং গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
প্রধান বিচারপতি বরাবর চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, সম্প্রতি সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, পেনাল কোডসহ বিভিন্ন আইনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সাবেক সমাজকল্যাণ সম্পাদক আখতার হোসেনসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের অর্ধ শতাধিক ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে। তাদের আদালতে হাজির করা হলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে আদালত তাদের পুলিশ রিমান্ডে প্রেরণ করেছে।’
‘গ্রেফতারের পর পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে যেসব মামলার কথা বলেছে তা কয়েক মাস থেকে কয়েক বছরের পুরোনো এবং মামলাগুলো রাজনৈতিক হয়রানির জন্য করা হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। দেশের করোনা পরিস্থিতি ও সামনের ঈদ সর্বোপরি ন্যায়বিচারের স্বার্থে আমাদের সন্তানতুল্য এই ছাত্ররা অবিলম্বে জামিনে মুক্তি পাওয়ার অধিকারী বলে আমরা মনে করি। কিন্তু আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি যে নিম্ন আদালতে বিভিন্ন প্রশাসনিক ও পদ্ধতিগত জটিলতার কারণে তারা তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ও আইনের শাসনের অভিভাবক হিসেবে আপনার কাছে আমরা নিম্নলিখিত আবেদনগুলো পেশ করছি।’