মুন্সিগঞ্জে যুবদল কর্মী শহিদুল ইসলাম শাওনের মৃত্যুর ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিনহাজ উল ইসলামকে প্রধান আসামী করে অপর ৮ পুলিশ কর্মকর্তা সহ অজ্ঞাতনামা ২০০/৩০০ জনের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩০২/৩৪ ধারায় অভিযোগ আনায়ন করে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত,মুন্সিগঞ্জে মামলাটির বাদী ছিলেন মো. সালাহ্ উদ্দিন, পিপিএম নামক এক ব্যক্তি । মামলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সহ এজাহারনামীয় অপরাপর আসামীরা হলেন অতি. এসপি সুমন দেব, মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ওসি তারিকুজ্জামান, এস আই মো. ফরিদ উদ্দিন, এস আই মো. আরিফুর রহমান, এসআই সুকান্ত বাউল, এএসআই নুকুল চন্দ্র ধর, এএসআই অজিত চন্দ্র বিশ্বাস, এএসআই মন্টু বৈদ্য।
মামলার আইনজীবী বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মো. তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ বলেন, বিগত ২১/০৯/২২ ইং তারিখে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শুরুর প্রাক্কালে আসামীরা বিনা উস্কানিতে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলকভাবে সশস্ত্রভাবে নেতাকর্মীদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। এজাহারনামীয় অতি উৎসাহী পুলিশ কমকর্তাদের সাথে স্থানীয় আওয়ামিলীগের ২০০-৩০০ নেতাকর্মী সশস্ত্রভাবে বর্বরোচিত হামলা চালায় এবং তারই প্রেক্ষিতে যুবদল কর্মী শহিদুল ইসলাম শাওনকে সরাসরি গুলি করে হত্যা করা হয়। উক্ত হামলায় শত-শত নিরীহ নেতাকর্মীরা গুরুতর আহত হলেও আমলযোগ্য ফৌজদারি অপরাধটি আমলে নেওয়া হয় নি বিধায় ন্যায় বিচারের স্বার্থে আজকে বিজ্ঞ আদালতের দারস্থ হলাম আমরা। বিচারক শুনানি শেষে আদেশের জন্য রেখেছেন।
শুনানিতে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন মুন্সিগঞ্জ বারের সিনিয়র আইনজীবী ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম মুন্সিগঞ্জের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. তোতা মিয়া, ফাইলিং আইনজীবী হিসেবে ছিলেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম মুন্সিগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন ঢালী, সুপ্রীমকোর্ট বার এসোসিয়েশনের সহ-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান, অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম জাহিদ, মুন্সিগঞ্জ বারের নেতৃবৃন্দ।
মামলার বাদী জানান, এমন জঘন্য একটি ফৌজদারি অপরাধ হওয়া সত্ত্বেও কোন প্রকার আইনি পদক্ষেপ না নেওয়ার নিজ বিবেকের তাড়নায় তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ পূর্বক তা যাচাই বাচাই করে সুনির্দিষ্টভাবে বর্ণনা করে তিনি মামলাটি দায়ের করেছেন। ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার স্বার্থে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করার নিবেদন করেছেন তিনি।