আইনজীবী পরিবার ও নিজ জন্মভূমি রূপগঞ্জের উন্নয়নে নিজেকে উৎসর্গ করতে চাই!

সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী,ব্যাংকিং ও কোম্পানী আইন বিশেষজ্ঞ ,ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির পরিচালনা বোর্ডের অন্যতম সদস্য,ঢাকা ইউনিভার্সিটি এল এল এম লইয়ার্স এসোসিয়েশন(ডুলা) এর সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজের ৪৮ তম জন্মদিন।

ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ ১৯৭৩ সালের ৩ ডিসেম্বর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার স্থায়ী নিবাস নারায়নগঞ্জের রুপগঞ্জের পুটিনা গ্রামে। বাবা আজিজুল হক খান একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। ১৯৯৮ সালে মারা গেছেন। মা শাহানা বেগম এখনও জীবিত আছেন। বাবা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী ছিলেন। বাবার কাছ থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের দীক্ষা পান তিনি। এভাবে পারিবারিক ভাবেই আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত এই আইনজীবী। ১৯৯০ সালে আইডিয়াল হাইস্কুল থেকে স্টার মার্কসহ এস এস সি পাশ করে ঢাকা কলেজে এইচ এস সি ভর্তি হন। ঢাকা কলেজেই সক্রিয়ভাবে ছাত্র লীগের রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৯১ সালে ঢাকা কলেজে ঢাকা সংসদ নির্বাচনে সাহিত্য সম্পাদকে নির্বাচন করেন। তখন আওয়ামী রাজনীতির জন্য খুব দু:সময় ছিল। তবে সেই সময়েও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি থেকে কখনও পিছপা হননি তিনি। ১৯৯১-৯২ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে এলএলবি অনার্স ও এলএলএম সম্পন্ন করেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়াশুনার পাশাপাশি ছাত্র রাজনীতি করতেন। আইন অনুষদ বিভাগের জয়েন্ট সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এলএলএম পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে তিনি আইন পেশা শুরু করেন। ১৯৯৭ সালে বার কাউন্সিলের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভূক্ত হন তিনি। ২০০০ সালে হাইকোর্টে প্র্যাকটিসের পারমিশন পান। ২০০১ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারের সদস্য হন তিনি। তারপর ২০০৫ বার এট ল করার জন্য ইংল্যান্ডে যান। ব্যারিস্টারি ডিগ্রী অর্জন করে এসে সুপ্রিম কোর্টে আবারও আইন পেশা শুরু করেন। ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সর্বাধিক ভোটে কার্য নির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিভিন্ন সামাজিক কল্যাণ মূলক কাজে সম্পৃক্ত ব্যারিস্টার শামীম আজিজ আইন আদালত ভিত্তিক অনলাইন নিউজ পোর্টাল Law Life Bd’র প্রকাশক হিসেবে আছেন।

প্রতিটি জন্মদিন কিভাবে কাটে জানতে চাইলে সদা বিনয়ী ও হাস্যজ্জল ব্যারিস্টার শামীম আজিজ জানালেন, জন্মদিনের প্রতিটি সকালে ঘুম থেকে উঠে মায়ের দোয়া নিয়ে দিনটি শুরু করি। এরপর পরিবারের প্রত্যেকটি মানুষকে সময় দেয়ার চেষ্টা করি। সাধারণত কোর্টের সিনিয়র ও আইনজীবী বন্ধুদের ভালো সময় কাটানোর চেষ্টা করি।সন্ধ্যায় চেম্বারে স্নেহাশীষ জুনিয়রদের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় সিক্ত হই। এটাই সাম্প্রতিক কয়েকবছরের রুটিন ওয়ার্ক!দিনশেষে সকলের এই ভালোবাসাটাই জন্মগ্রহণের সার্থকতা বলে মনে হয়।

পরবর্তী ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে অকপটে জানালেন আমার আইনজীবী পরিবার ও আমার জন্মস্থান নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ বাসীর জন্য ভালো কিছু করে যেতে চাই। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনার আদর্শের সৈনিক হিসেবে তাদের সার্বিক উন্নয়নের জন্য আজন্ম লালিত স্বপ্ন হিসেবে নিজেকে আত্মোৎসর্গ করতেও আমি রাজী।

scroll to top