২২ বছর আগে রাজশাহীর বাগমারার শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানীসহ দুজনকে হত্যার ঘটনায় দুজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এছাড়া দুজনের মৃত্যুদণ্ড থেকে সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
চূড়ান্ত শুনানি শেষে বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ রায় দেন।আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এসএম শাহজাহান।
চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় ২০০০ সালের ১৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় গোলাম রব্বানীকে গলা কেটে হত্যা করে দুবৃত্তরা। এ সময় গ্রামবাসী মাইকে ঘোষণা দিয়ে প্রতিরোধ করতে গেলে আইয়ুব নামে আরও একজনকে হত্যা করা হয়।এ ঘটনার বিচার শেষে ২০০৫ সালে বিচারিক আদালত ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। পরে ২০১০ সালে হাইকোর্ট বিভাগ যাবজ্জীবন প্রাপ্তদের খালাস দিয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের দণ্ড বহাল রাখেন। এরপর আসামিরা আপিল করেন। সেই আপিলের শুনানি শেষে বুধবার রায় দেন আপিল বিভাগ।
রায়ের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ সাংবাদিকদের জানান, মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্তদের মধ্যে বিকাশ পলাতক। তিনি কখনো আপিল করেননি। আর মতিউর রহমান নামে এক আসামি মারা গেছেন। ফারুক ও গফুর নামে দুজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ আজকের আপিল বিভাগের রায়ে বহাল থাকলো। আর সেতাব ও সামানের মৃত্যুদণ্ডাদেশ কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।