সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধ এর মনোভাব থেকে সরে আসতে হবে সরকারকে, সত্য প্রকাশের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান কোনোভাবেই কাম্য নয়।।

।প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে এক আকস্মিক, অনাকাঙ্ক্ষিত, অনভিপ্রেত ঘটনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে হেনস্তার শিকার হয়েছেন। এরপর মামলা দিয়ে তাঁকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। মাননীয় আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করলেও এ মুহূর্তে রোজিনা ইসলাম কারান্তরালে। এটা রোজিনা ইসলাম, তাঁর পরিবার, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং দুর্নীতিবিরোধী নীতি ও মূল্যবোধের বিরুদ্ধে এক বিশাল আঘাত।

রোজিনা ইসলাম অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় বিশেষ কৃতিত্বের জন্য কানাডিয়ান অ্যাওয়ার্ডস ফর এক্সিলেন্স ইন বাংলাদেশি জার্নালিজম (২০১১), টিআইবির অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পুরস্কার (২০১৫), পিআইবি ও দুদকের উদ্যোগে দুর্নীতি প্রতিরোধে গণমাধ্যম পুরস্কার বাংলাদেশসহ (২০১৪) অনেকগুলো স্বীকৃতি পেয়েছেন, পেয়েছেন দেশের মানুষ, পাঠক, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের ভালোবাসা ও সম্মান।

এতদ্বসত্ত্বেও শুধুমাত্র স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতির মূল উৎপাটন সহ আলিবাবা চল্লিশ চোরের ঘটনার আদ্যোপান্ত সচিত্র প্রতিবেদন তুলে আনতে গেলে যে কায়দায় একজন সাহসী সাংবাদিকের নির্যাতনসহ মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।আমরা বিশ্বাস করি স্বাধীন সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের ওপর আঘাত মানে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্রের সুবাতাস বইবার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা।

তাই সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধ এর মনোভাব থেকে সরে আসতে হবে সরকারকে এবং সত্য প্রকাশের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান কোনোভাবেই কাম্য নয়।

scroll to top