রাজধানীর মিরপুরে পুলিশের ট্রাফিক বক্সে হামলা-ভাঙচুর ও পুলিশ সদস্যকে মারধরের ঘটনায় গ্রেফতার সাতজনকে একদিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন- সুরুজ কাঙ্গালী, আক্তার, শমসের উদ্দিন, রনি, কালিম, মাসুদ রানা ও শামসু।মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) একদিনের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
রোববার (১৬ অক্টোবর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর জোনাল টিমের এসআই (নিরস্ত্র) কামাল পাশা আসামিদের আদালতে হাজির করে মিরপুর মডেল থানায় করা মামলায় প্রত্যেকের সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়।শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দীন দুই আসামির দুই দিন ও সাতজনের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জনি ইসলাম, রাসেল মিয়া, সুরুজ কাঙ্গালী, আক্তার, শমসের উদ্দিন, রনি, কালিম, মাসুদ রানা ও শাম।তাদের মধ্যে প্রথম দুজনের দুই দিনের এবং শেষ সাতজনের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।শনিবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে মিরপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে হামলার সঙ্গে জড়িত ৯ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় গ্রেফতার ১১ ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকের দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর মিরপুরে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধে পুলিশি অভিযানের প্রতিবাদে পাঁচটি ট্রাফিক পুলিশ বক্সে হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ রিকশাচালকরা। হামলায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। ভাঙচুর করা হয় একটি মোটরসাইকেলও। পরে পুলিশ বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাধা ও সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার অভিযোগে শতাধিক অটোরিকশা চালককে আসামি করে একটি মামলা করে।