ব্যারিস্টার সুমনকে নোয়াখালীতে এসে লাইভ করার চ্যালেঞ্জ!

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এলাকায় গিয়ে ভিডিও বার্তায় তার নেতৃত্বের সমালোচনা করায় আইনজীবী এম টি উল্যাহ নোয়াখালীতে গিয়ে লাইভ করার চ্যালেঞ্জ জানায় ব্যারিস্টার সাইদুল হক সুমনকে।

আইনজীবী এম টি উল্যাহ বলেন, গত ১৪ বছর ধরে আওয়ামিলীগ তো ক্ষমতায়, আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এলাকা নোয়াখালীতে অবস্থিত বিমানবন্দরটি অচল অবস্থায় পড়ে আছে কেন জনাব? তাহলে ওবায়দুল কাদেরের ব্যর্থতার কথা নোয়াখালীতে লাইভ করে বলুন না? আমি তাকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি তার যদি সৎ সাহস থাকে তবে এই সরকারের যোগাযোগমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি ওবায়দুল কাদের সাহেবের এলাকায় এসে এই সংক্রান্ত লাইভ করে যান।

এর আগে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেছেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মন্ত্রিত্ব লাভের পর নিজ এলাকার উন্নয়ন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। যিনি এলাকার উন্নয়নে ব্যর্থ হন। তিনি কীভাবে দেশের উন্নয়ন করবেন।

ঠাকুরগাঁওয়ের পরে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের যাত্রা। কিন্তু সেটি চলমান, ঠাকুরগাঁওয়েরটা এখনো হল না। এর জবাবে আইনজীবী এম টি উল্যাহ বলেন,ব্যারিস্টার সুমন সাহেবের বক্তব্যে তথ্যগত ভুল রয়েছে। ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দরটি বন্ধ হয়ে সৈয়দপুর বিমান বন্দর গড়ে ওঠেনি। এখানে একটু ইতিহাস জানা জরুরি ছিলো। প্রথমত ঠাকুরগাঁও বিমান বন্দরটি ১৯৪০ সালে এবং ১৯৬৫ সালে ভারত-পাক যুদ্ধের সময় ভারতীয় বিমান বাহিনী এখানে হামলা চালালে বিমানবন্দরের রানওয়েটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অপরদিকে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনী সৈয়দপুর বিমানবন্দরটি গড়ে তোলে। সৈয়দপুর সেনানিবাসের পশ্চিম পাশ ঘেঁষে এটি ণির্মাণ করা হয়। পাকবাহিনীর নির্দেশে হাজারো বাঙ্গালীর স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত হয় সৈয়দপুর বিমানবন্দর।

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দুটো বিমানবন্দরই অচল ছিলো। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তাঁর শাসনামলে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিমানকে ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত নেন এবং তারই অংশ হিসেবে ১৯৭৭ সালে ঠাকুরগাঁও বিমান বন্দর ও সৈয়দপুর বিমানবন্দর দুটোই সংস্কার করার নির্দেশ দেন এবং কয়েক বছর ঠাকুরগাঁও বিমান বন্দরে কিছু বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালিত হয়। শহীদ জিয়ার মৃত্যুর পর বিমান বন্দরটি পরিত্যক্ত হয়। অন্যদিকে সৈয়দপুর ১৯৭৭ সালে চালু হওয়া সৈয়দপুর বিমানবন্দরটি এখনো চলমান রয়েছে।

উনি মির্জা ফখরুল ইসলামকে দোষারোপ করে বাহবা কুড়ানোর চেষ্টা করতেছেন। আরে, গত ১৪ বছর ঠাকুরগাঁও আওয়ামী নেতারা কি করেছে?

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তো গত ১৪ বছরে একটা দিন শান্তিতে ঘুমাতেও পারে নি। দেশের গণতান্ত্রিক সংগ্রামী মজলুম জনতার জন্য সংগ্রাম করতে করতেই তাঁর জীবন যাচ্ছে।

scroll to top